প্রবীণদের মধ্যে ‌সেক্স টয় কেনার ধুম

চীনে প্রবীনদের মধ্যে ‘সেক্স টয়’ কেনার প্রবণতা বাড়ছে। বেশি বয়সী নিঃসঙ্গ বিপত্নীক পুরুষ বা বিধবা নারীরা মানবসঙ্গী খুঁজে না পেয়ে সঙ্গী হিসেবে দোকান থেকে কিনে আনছেন এসব পুতুল। এগুলোর সঙ্গে তারা একসঙ্গে ঘুমাচ্ছেন, সময় কাটাচ্ছেন, প্রয়োজনে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে। স্বামী-স্ত্রীর মতোই আচরণ করছেন পুতুলের সঙ্গে। অনেক বৃদ্ধ নারী যৌন সম্পর্ক এড়াতে নিজেই স্বামীকে সেক্স টয় কিনে উপহার দিচ্ছেন।

সিলিকন ও উন্নতমানের রাবার জাতীয় উপকরণে তৈরি অবিকল মানুষের মতো এসব পুতুলের চাহিদা বাড়ায় চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছে সেক্স টয় সপ (যৌন পন্য বিক্রির দোকান)। উত্তর চীনের ঝিয়ান প্রদেশে রাস্তার আশপাশে গোপনে বা প্রকাশে গড়ে উঠেছে এমন প্রায় দুই হাজার দোকান।

পিপলস ডেইলি অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রবীণ বিশেষতঃ পেনশনভোগী মানুষের সেক্স ডল ক্রয়ের হার বিষ্ময়করভাবে বাড়ছে। দেশের অন্যান্য স্থানেও এই হার বাড়ছে।

এসব ক্রেতাদের মধ্যে অনেকে আছেন বিপত্নীক, অনেকে আবার পুতুল কিনছেন কারণ তার স্ত্রী যৌনতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।

ঝিয়ান প্রদেশের একজন সেক্স ডল বিক্রেতা ফেং জানান তিনি অনলাইনে এবং তার বেশকিছু দোকানে এসব পুতুল বিক্রি করেন। তবে ১৯৯৮ সালের আগে এগুলো ছিল না। তখন তিনি বছরে ১০০টি পুতুল বিক্রি করতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতেন। কিন্তু এখন তিনি বছরে অনায়াসে একহাজার পুতুল বিক্রি করেন।

চীনা গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, পেনশনভোগী, বিধবা, বিপত্নীক ছাড়াও দীর্ঘদিন প্রবাসে পরিজনবিহীন দিন পার করা মধ্যবয়সীরাও এসব পুতুল কিনছে।

৬৫ থেকে ৮০ বছর বয়সীদের ওপর এক জরিপে দেখা গেছে তাদের ৯৫ ভাগই যৌন চাহিদা অনুভব করেন এবং তাদের অনেকেই তা পূরণ করতে পারেন না। আর এ কারণেই বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে তাদের অনেকে সেক্স ডল কেনার সিদ্ধান্ত নেন।

এমনই একজন ৭০ বছরের লি বলেন, তিনি একাই থাকেন এবং একজন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার পর সেক্স ডল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।সূত্র: মেইল অনলাইন অবলম্বনে

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর